জানেন কি আপেল (APPLE)ঠিক কত টা উপকারী আপনার শরীর এর জন্য ?
- Debjoyti Ghosh
- Jun 26
- 2 min read

আপেল হলো পৃথিবীর সর্বোত্তম ফল গুলির মধ্যে অন্যতম।
কথায় আছে "ONCE APPLE A DAY KEEPS DOCTOR AWAY"আপেলে অত্যান্ত ভালো পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। আপেল খাওয়ার ফলস্বরূপ আমরা আমাদের শরীরে বিশেষ উপকারিতা লক্ষ্য করি, সেই গুলির মধ্যে অন্যতম হলো আপেল আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে আপেলের অনবধ্য ভূমিকা থাকে। এছাড়াও আপেল আমাদের শরীরের পরিপাক ক্রিয়াকে সচ্ছল ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
বিশেষ কয়েকটি গুণগত দিক যেগুলি আপেল থেকে আমরা পেয়ে থাকি সেগুলি হল:
আপেল ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়,
হার মজবুত করতে এবং
চুল ও ত্বককে ভালো রাখতে আপেলের ভূমিকা রয়েছে।

APPLE'Sপুষ্টিগত পরিমাপ:
একটি মধ্য সাইজের আপেলে অর্থাৎ ১৮০ গ্রামের আপেলে পুষ্টিগত পরিমাপ হল:
ক্যালোরি: ৯৪-৯৬ ক্যালোরি
প্রোটিন: ০.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ২৫ থেকে ২৬ গ্রাম
সুগার: ১৯ থেকে ২০ গ্রাম
ফাইবার: ৪.৪ থেকে ৪.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৯% (প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে)
জল: ৮৬%
আপেলের বিশেষ উপকারিতা:
১. হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য:চামড়া যুক্ত আপেল হল ফাইবারের উপযুক্ত উৎস। এছাড়াও পলিফেনালস এবং অন্যান্য পুষ্টিকর গুণ যা আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা যায় একজন মানুষ যদি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের আপেল প্রত্যেকদিন খান তবে তার হৃদযন্ত্রের রোগ অনেক কমে যায় এবং কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। একটি আপেল প্রতিদিন খাওয়ার ফলে হৃদয়ে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা ১/৪ হয়ে যায়।
২. পাচনতন্ত্রে ভূমিকা:আপেলে ভালো পরিমাণে প্যাকটিন পাওয়া যায়, আর প্যাকটিন হলো একটি soluble fiber, যার জন্য আপেল আমাদের পাচন ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্র থেকে জল শোষণ করে এবং আমাদের মলকে নরম করে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। Probiotic হবার কারণে গাট হেলথে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা:আপেলে অনেক জল ও ফাইবার থাকলেও ক্যালোরি অনেক কম, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিজ্ঞানীদের মতে, ফাইবার সমৃদ্ধ ফল-সবজি খেলে আমাদের শরীরে ওজন কমে।
৪. ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো:অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকায় ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অসুবিধা:
কিছু মানুষের পেট ফোলা, গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যা হতে পারে।
যাদের আপেলের প্রতি অ্যালার্জি আছে, তাদের না খাওয়াই ভালো।
আপেলের বীজ খাওয়া উচিত নয় — এতে সায়ানাইড থাকে। অল্প পরিমাণে ক্ষতি না করলেও বেশি খেলে বিষাক্ত হতে পারে।
অনেক আপেলে কীটনাশক স্প্রে করা হয়, তাই খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উত্তম।
প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।






Comments