top of page

Eye Care:চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে রইলো কিছু কার্যকর উপায়

  • Writer: Debjoyti Ghosh
    Debjoyti Ghosh
  • Jul 3
  • 2 min read
Close-up of a blue eye with detailed iris patterns. Long eyelashes surround the eye, reflecting natural light. A serene and focused mood.

আমাদের শরীর অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলির মধ্যে চোখ একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ যা আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের একটি।বর্তমান জীবন যাপনে চোখ এর যত্ন নেওয়া বা Eye Care অত্তান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।শহরের যানজট এর ধোয়া ধুলোবালি সারাদিন মোবাইল কম্পিউটার এর স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কে ক্ষতি গ্রস্ত করে চলেছে।এখন অল্প বয়স থেকেই আমাদের সকল কে চশমার বেবহার শুরু করতে হয়। বয়সের সাথে সাথে অনেকের চোখ এর জ্যোতি কমে আসে।সেই দৃষ্টি শক্তি কে ধরে রাখতে এবং দৃষ্টি শক্তি কে উন্নত করতে আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।চোখ ভালো রাখতে আমাদের শুধু ভালো খাওয়া দাও করলেই হবে না তার সাথে সাথে কিছু ভালো শারীরিক অভ্ভাস এর ও প্রয়োজন রয়েছে।

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার কিছু টিপস আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো:


স্বাস্থসম্মত আহার:চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য। ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার চোখের জন্য খুবই উপকারী।নিচে দেওয়া খাবার গুলি আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন:শাকসবজি- গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি(এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং রেটিনাকে সুস্থ রাখে।),ফলমূল-লেবু, কমলালেবু, আমলকী(ভিটামিন সি চোখের রক্তনালীকে শক্তিশালী করে।),নাটস-(ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের কোষগুলিকে সুরক্ষিত রাখে।)এছাড়াও ডিম(ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, লুটেইন, জিংক ও জেক্স্যানথিন, যা চোখের রেটিনা এবং কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে।) ও সামুদ্রিক মাছ(ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়।)।এই সমস্ত খাবার গুলি আমাদের চোখ ভালো রাখতে যথেষ্ট ভাবে সাহায্য করে।

Colorful fruits and veggies on a plate, including peppers, spinach, blueberries, orange juice, and kale, creating a vibrant, healthy scene.

২০-২০-২০ নিয়মে নিজের চোখ কে বিশ্রাম দিন:কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে এবং 'ড্রাই আইজ'-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে "২০-২০-২০" নিয়মটি মেনে চলুন-প্রতি ২০ মিনিট পর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিন।২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকুন।২০ সেকেন্ডের জন্য এই কাজটি করুন।এছাড়াও, কাজের সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলুন। এটি চোখকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

নির্দিষ্ট পরিমান ঘুম:চোখের বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি।চোখের আরামের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কম ঘুম চোখে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে চোখ লাল হয়ে যায়, পলক ভারী হয় এবং দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হতে পারে।পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের নিচে কালি পড়া, ফোলা ভাব এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Woman peacefully sleeping in a dimly lit bedroom, wearing a white top, resting on white pillows and sheets. Warm, soft lighting creates a calm mood.

জল দিয়ে চোখ ধোঁয়া:প্রতিদিন ২–৩ বার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নেওয়া খুবই উপকারী। এটি চোখকে সতেজ রাখে ও ধুলোময়লা থেকে রক্ষা করে।

চশমার ব্যবহার:রোদ,ধুলোবালি এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করতে পারে। বাইরে বেরোনোর সময় ইউভি প্রোটেকশনযুক্ত সানগ্লাস পরুন। চোখে ধুলো বা ময়লা পড়লে চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন এবং পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

ব্যায়াম করুন:শরীরের অন্য অঙ্গ গুলির মতো চোখের জন্যও নির্দিষ্টি ব্যায়াম রয়েছে সেগুলি আপনার প্রতিনিয়ত ব্যায়াম এর সাথে যোগ করুন। যেমন-১.চোখের মণি উপরে, নিচে, ডানে ও বামে ধীরে ধীরে ঘোরান।২.চোখ বন্ধ করে হাতের তালু দিয়ে আলতো করে ঢেকে রাখুন ১ মিনিট। এতে চোখ আরাম পাবে।৩.কিছুক্ষণ দূরে তাকিয়ে থাকুন, তারপর কাছের কোনো বস্তুর দিকে মনোযোগ দিন।

এছাড়াও নিজের হাত কে সব সময় পরিষ্কার রাখুন কারণ অপরিষ্কার হাত চোখ এ দিলে চোখের ক্ষতি হতে পারে |নিয়মিত চক্ষু হাসপাতে গিয়ে নিজের চোখের পরীক্ষা কোরান প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।চোখ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটু সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে আমরা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি এবং দীর্ঘকাল সুস্থ দৃষ্টিশক্তি উপভোগ করতে পারি।


Comments


bottom of page